শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখনও তদন্ত রিপোর্ট আসেনি, সন্দেহের তীর ইউক্রেনের দিকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক   |   মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   72 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

এখনও তদন্ত রিপোর্ট আসেনি, সন্দেহের তীর ইউক্রেনের দিকে

এক বছর আগে জার্মানি ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘ গ্যাস পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম ১ ও ২-এ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ হয়। কারা এই বিস্ফোরণের পিছনে ছিল, সে ব্যাপারে গত এক বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে জার্মানি, সুইডেন, ডেনমার্ক। কিন্তু সেই তদন্তে কী হয়েছে তা বলা হয়নি। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা নিজেদের মতো করে তদন্ত করেছেন। তাদের তদন্তে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য।

২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাত দুইটার সময় জার্মানি, সুইডেন ও ডেনমার্কে মৃদু মাটি কাঁপার চিহ্ন ধরা পড়লো।ঠিক একই সময় জর্মানি ও রাশিয়ার মধ্যে এক হাজার দুইশ কিলোমিটার লম্বা পাইপলাইন অপারেটররা দেখলেন গ্যাসের চাপ হঠাৎ অত্যন্ত কমে গেল। সূর্যোদয়ের পরে দেখা গেল বাল্টিক সাগরে জলের উপর মিথেন গ্যাসের বুদবুদ উঠছে। জলের ৮০ মিটার বা ২৬০ ফিট গভীর থেকে এই বুদবুদ উপরে উঠছে। কিছুক্ষণ পরেই স্পষ্ট হলো, জার্মানি ও রাশিয়ার মধ্যে নর্ড স্ট্রিম ১ ও ২ পাইপলাইনের অনেকটা অংশ উড়ে গেছে।

তদন্ত চলছে

জার্মানি, সুইডেন, ডেনমার্কের তদন্ত চলছে। এক বছর পরেও তারা কেউই জানায়নি, কারা এই বিস্ফোরণের পিছনে ছিল। ফলে মানুষের দৃষ্টি সংবাদমাধ্যমের তদন্তের দিকে যাচ্ছে।

২০২৩ সালের মার্চে জার্মানির সরকারি রেডিও এআরডি এবং একটি সংবাদপত্রের তদন্ত-রিপোর্ট রীতিমতো আলোড়ন তোলে। সেখানে বলা হয়, ইউক্রেনের একটি ১৫ মিটার লম্বা ইয়ট ‘অ্যান্ড্রোমিডা’ এই বিস্ফোরণের পিছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। পাঁচজন পুরুষ ও একজন নারী এই ইয়টে করে জার্মানির একটি বন্দর থেকে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রওয়ানা হন। জার্মান ফেড়ারেল পুলিশ অফিসের তদন্তেও দেখা গেছে, এই ইয়টে বিস্ফোরক নেয়া হয়েছিল, একই বিস্ফোরক দিয়ে নর্ড স্ট্রিমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।

নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপে হামলায় ইউক্রেনপন্থী গোষ্ঠী!

জুন মাসের গোড়ায় ওয়াশিংটন পোস্টে একটা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে বলে হয়েছে, আমেরিকা ও ইউরোপের গোয়েন্দা বিভাগ ২০২২ সালের জুন মাসে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, ইউক্রেনের ডাইভাররা নর্ড স্ট্রিমের ক্ষতি করতে পারে।

ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট বলছে, ইউক্রেনের ডাইভাররা সরাসরি কম্যান্ডার-ইন-চিফকে রিপোর্ট করত। জেলেনস্কি এই পরিকল্পনার কথা জানতেন না।

গত আগস্টে জার্মানির সরকারি রেডিও জেডডিএফ এবং ম্যাগাজিন স্পিগল-এর ২০ সদস্যের তদন্তকারী দল জানিয়েছিল, যাবতীয় ক্লু একটা দিকেই যাচ্ছে, সেটা হলো ইউক্রেন।

তদন্তকারী দলের এক সদস্য ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ‘রাশিয়া এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সেরকম কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। অ্যামেরিকার জড়িত থাকারও কোনো প্রমাণ মেলেনি।’

ফেব্রুয়ারিতে অবশ্য অ্যামেরিকার প্রখ্যাত সাংবাদিক সিমোর হার্শ একজন সূত্রের ভরসায় জানিয়েছিলেন, আমেরিকা এই বিস্ফোরণের পিছনে ছিল।

মার্কিন হুমকি

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎসের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘রাশিয়া যদি আক্রমণ করে, তাহলে নর্ড স্ট্রিম ২ আর থাকবে না। আমরাই তা শেষ করে দেব।’

নর্ড স্ট্রিমে বিস্ফোরণের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, ‘রাশিয়ার জ্বালানির উপর থেকে নির্ভরতা শেষ করার সুয়োগ এসে গেছে।’

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

Facebook Comments Box

Posted ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com