রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শিগগিরই উত্তর কোরিয়া সফর করবেন বলে জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। গত সপ্তাহে মস্কোতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুইয়ের সাথে বৈঠকের সময় পিয়ংইয়ং সফরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পুতিন। রোববার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

কেসিএনএ বলেছে, বৈঠকে পিয়ংইয়ং সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে কেসিএনএ এই তথ্য জানিয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় রুশ নেতার প্রথম সফর হবে এটি। গত সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেছিলেন, কিম জং উনের আমন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া সফর করবেন বলে রাশিয়া প্রত্যাশা করছে। আর এই সফর ‘‘অদূর ভবিষ্যতে’’ হবে। তবে সফরের নির্দিষ্ট তারিখের বিষয়ে এখনও উভয়পক্ষ একমত হয়নি।

রোববার কেসিএনএর কোরিয়ান-ভাষার প্রতিবেদনে পুতিন শিগগিরই পিয়ংইয়ং সফর করবেন বলে জানানো হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমটির ইংরেজি প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সফর করতে ইচ্ছুক। কেসিএনএ বলছে, চো সন হুইয়ের সফরের সময় ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে সমর্থন ও সংহতির জন্য উত্তর কোরিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ক্রেমলিন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো এবং পিয়ংইয়ং উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌম অধিকারের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে আঞ্চলিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে পিয়ংইয়ং-মস্কো।

উত্তর কোরিয়ার এই সংবাদমাধ্যম বলছে, পিয়ংইয়ং এবং মস্কোর দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জাতিসংঘের সনদ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনের চেতনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।

১৯৯৯ সালে বরিস ইয়েলৎসিনের কাছ থেকে ক্ষমতা নেওয়ার পর কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের সাথে বৈঠকের জন্য ২০০০ সালের জুলাইয়ে পিয়ংইয়ং সফর করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এর আগে, পেসকভ বলেছিলেন, গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত শীর্ষ এক সম্মেলনে সাক্ষাতের সময় কিম জং উনের উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। গত কয়েক বছরে কিম জং উন ও ভ্লাদিমির পুতিনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক ওয়াশিংটন এবং তার মিত্রদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের লঙ্ঘন করে দুই দেশের অস্ত্র ব্যবসারও নিন্দা জানিয়েছে তারা।