অর্থনীতি ডেস্ক | রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট | 23 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
শিশুদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে বেসরকারি খাতের পুঁজি ও উদ্ভাবনকে সক্রিয়ভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি), বাংলাদেশের সঙ্গে এক সংলাপে ইউনিসেফের প্রাইভেট ফান্ডরেইজিং ও পার্টনারশিপস বিভাগের পরিচালক কার্লা হাদ্দাদ মারদিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে শিশুদের অধিকার ও টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যুক্ত করার দিকনির্দেশনা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। রোববার আইসিসি বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর গুলশানে আইসিসি বাংলাদেশের কার্যালয়ে সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়।
আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান সামাজিক দায়বদ্ধতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নে আইসিসি বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)-এর বাংলাদেশ চাপ্টার হিসাবে আইসিসি বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ব্যবসা পরিচালনা ও নৈতিক কর্পোরেট চর্চা প্রচারে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের জাতীয় অগ্রাধিকার এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন, আইসিসি বাংলাদেশ ইউনিসেফের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিয়মিতভাবে সহযোগিতা করে আসছে। ২০২২ সালে আইসিসি বাংলাদেশ সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের সহায়তায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের কার্যক্রমকে সমর্থন জানাতে ১৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়। এছাড়া ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে আইসিসি বাংলাদেশ ইউনিসেফ বাংলাদেশের মাধ্যমে ইউনিসেফ প্যালেস্টাইনে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার শিশুদের চিকিৎসা, খাদ্যসহ বিভিন্ন মানবিক সহায়তার জন্য তিন কোটি টাকা অনুদান দেয়।
ইউনিসেফের প্রাইভেট ফান্ডরেইজিং ও পার্টনারশিপস বিভাগের পরিচালক কার্লা হাদ্দাদ মারদিনি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে একত্রিত করে যৌথ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আইসিসি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে বেসরকারি খাতের পুঁজি ও উদ্ভাবনকে সক্রিয়ভাবে কাজে লাগানো এখন সময়ের দাবি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এ. কে. আজাদ, এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি. রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ, বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বিজিএমইএ সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার বিদ্যা অমৃত খান, প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেডের এমডি ফজলুল হক, উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, সায়হাম কটন মিলসের এমডি প্রকৌশলী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, আইসিসি বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল আতাউর রহমান, ইউনিসেফ জেনেভার চিফ অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি মিগুয়েল মাতেওস মুনোজ, কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট ক্লেয়ার ম্যাককিভার, ইউনিসেফ বাংলাদেশের সোশ্যাল পলিসি স্পেশালিস্ট হাসিনা বেগম, ফান্ডরেইজিং অ্যান্ড পার্টনারশিপস অফিসার মো. সামিন সালেকিন, আইসিসি বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার অজয় বিহারী সাহা এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দা শাহনেওয়াজ লতিকা।
আলোচনায় ইউনিসেফ প্রতিনিধিদল উল্লেখ করেন, বেসরকারি খাত সামাজিক পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি যা কেবল আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে নয়, বরং নিজেদের প্ল্যাটফর্ম, প্রভাব ও নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে শিশু অধিকার, লিঙ্গ সমতা এবং তরুণদের ক্ষমতায়নেও বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সভা শেষে আইসিসি বাংলাদেশ ও ইউনিসেফ উভয় পক্ষই ভবিষ্যৎ সহযোগিতার জন্য একটি যৌথ রোডম্যাপ প্রণয়নের বিষয়ে উভয়পক্ষ সম্মত হয়। রোডম্যাপের মূল লক্ষ্য হবে কর্পোরেট সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, নীতিগত সংলাপ জোরদার এবং শিশু ও তরুণদের কল্যাণে সম্প্রদায়ভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা, যা ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর স্বাক্ষরিত আইসিসি বাংলাদেশ-ইউনিসেফ সমঝোতা স্মারকের আওতায় পরিচালিত হবে।
Posted ২:২২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
nykagoj.com | Stuff Reporter