বুধবার ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমার হজ্ব প্রক্রিয়ায় জমজম ট্রাভেলস সহায়ক ভূমিকা রেখেছেঃ আসেফ বারী

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   242 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

আমার হজ্ব প্রক্রিয়ায় জমজম ট্রাভেলস সহায়ক ভূমিকা রেখেছেঃ আসেফ বারী

আসেফ বারী টুটুল আল্লাহ’র অশেষ কৃপায় পবিত্র হজ্ব সম্পন্ন করে এসেছেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসাথে হজ্ব করতে পারায় মহান আল্লাহ’র দরবারে শুকরিয়া জানিয়েছেন। আসেফ বারী যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে পরিচিত মুখ। দেশ ও প্রবাসে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ। পবিত্র হজ্বের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রতিবেদকের কথা হচ্ছিল তার জ্যাকসন হাইটস্থ বারী হোম কেয়ার অফিসে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলি ট্রাভেলস’র কর্ণধার মোহাম্মদ হারুন সেলিম ও জমজম ট্রাভেলস’র সিইও তৌহিদ মাহবুব মুন্না। কথোপকথনের এক পর্যায়ে হজ্ব নিয়ে জটিলতা ও সম্প্রতি নিউইয়র্ক কাগজে প্রকাশিত ‘ হজ্বে কিছু প্রবাসীর না যেতে পারা ও ট্রাভেল এজেন্টদের ভিূমকা’ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঐ রিপোর্টে হজ্ব নিয়ে ভোগান্তির শিকারে আসেফ বারীর নামও এসেছিল।

আসেফ বারী বলেন, আমি ও আমার পরিবার এবার হজ্ব করার নিয়ত করি। যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার পরও লটারীতে আমরা বাদ পড়ে যাই। এ সময় জমজম ট্রাভেলস’র মুন্না আমাকে নুসাকের মাধ্যমে হজ্ব ভিসা পাবার সম্ভানার কথা বলেন। আমি চেষ্টা করতে বাধা নেই বলে তাকে এগিয়ে যেতে বলি। ভিসা প্রোসেস ও অন্যান্য প্রক্রিয়া বাবদ তাকে ২৫ হাজার ডলার প্রদান করি। তারা যথারীতি আমাদের জন্য আবেদন করে। কিন্তু নুসাকের কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় আমাদের ভিসা প্রোসেস হয়নি। সাথে সাথে জমজম ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষ আমাদের তা অবহিত করে এবং সমুদয় অর্থ ফেরত দেয়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এতে ট্রাভেল এজেন্সীর কোন হাত ছিল না। তারা সাধ্যমতো আমাদের জন্য চেষ্টা করেছে। পরে আমি সৌদি রয়েল কোটার আওতায় দ্রুত ও অল্প সময়ে ভিসা প্রোসেস ও টিকেট কেটে হজ্ব করতে গিয়েছিলাম। অবশ্য এতে আমাদের খরচ অনেক বেশি হয়েছে। জমজম ট্রাভেলস  আমাদের এ প্রক্রিয়াতেও সহযোগিতা করেছে। আমার জানামতে, হজ্বে যাবার জন্য তাদেরকে যারা অর্থ দিয়েছিল তারা সবাই তা ফেরত পেয়েছেন। যা ঘটেছে তাতে জমজম কিংবা অন্য কোন ট্রাভেলস’র হাত ছিল না। পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রন ছিল সৌদিদের হাতে। আমাদের ট্রাভেলস এজেন্টরা সহায়ক হিসেবে কাজ করেন মাত্র।

ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন আটাবের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন সেলিম আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, হজ্বের ভিসার ব্যাপারে আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি না। ধর্মীয় একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আমরা কাস্টমারদের হ্যান্ডেল করে থাকি। অনেক সময় আমাদেরকে সৌদি সরকারের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে হয়। এরপরও ট্রাভেলস এজেন্টদের সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। নুসাকের এই ভিসা ও হজ্ব প্রক্রিয়া শুরুর আগে আমি রহমানিয়া ও জমজম ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষকে সর্তক হবার উপদেশ দিয়েছিলাম। অবশ্য বেশ কয়েকজন হজ্ব যাত্রী হজ্বে না যেতে পারায় তাদের হাত ছিল না। জমজম ট্রাভেলস’র কর্ণধার তৌহিদ মাহবুব মুন্না বলেন, যারা হজ্বে যেতে পারেন নি তাদের সকলের অর্থ ফেরত দেয়া হয়েছে। যা ঘটেছে সৌদি কতৃর্পক্ষের কারনে। আমাদের চেষ্টার ত্রুুটি ছিল না। তবুও আমরা দুঃখিত। সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাষ্টমারদের সেবা দিতে জমজম ট্রাভেলস বদ্ধ পরিকর। আমি কমিউনিটিকে সেবা প্রদানে সকলের সহযোগিতা চাই।

 

Facebook Comments Box

Posted ১১:০২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com