রবিবার ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রপ্তানিমুখী শিল্পের বন্দর সেবায় ভ্যাট কাটা যাবে না

অর্থনীতি ডেস্ক   |   বুধবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   49 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

রপ্তানিমুখী শিল্পের বন্দর সেবায় ভ্যাট কাটা যাবে না

শতভাগ রপ্তানিকারক এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের বন্দর সেবার বিপরীতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) কাটা যাবে না। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে বন্দর সেবায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ভ্যাট আদায় শুরু করলে জটিলতা তৈরি হয়। ওই জটিলতা নিরসনে গত ৩ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মূসক আইন ও বিধি বিভাগ থেকে ওই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, তৈরি পোশাকসহ শতভাগ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বন্দর সেবায় আগে থেকেই উৎসে মূসক অব্যাহতি দেওয়া আছে। আগের আইনে জাহাজে সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানের রপ্তানির ক্ষেত্রে বন্দর সেবায় মূসক অব্যাহতি ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের বাজেটে মূসক আইনের ওই উপধারাটি বাদ দেওয়া হয়েছিল। যা শতভাগ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এ বিষয়ে ২০১৯ সালের ১৯ জুনে প্রকাশিত এস.আর.ও -১৮৮ অনুসারে জাহাজের মাধ্যমে শতভাগ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট বা মূসক অব্যাহতির বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা রয়েছে। বিষয়টি হয়ত বন্দর কর্তৃপক্ষ ধরতে পারে নাই, সে কারণেই জটিলতা সৃষ্টি হয়। ওই জটিলতা নিরসনে চিঠি ইস্যু করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে বন্দর সেবার বিপরীতে মুসক আদায় করছে। রপ্তানি বাণিজ্যের সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বন্দর সেবার বিপরীতে মুসক আদায় হতে বিরত থাকার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, এনবিআর থেকে ২০১৯ সালের ১৩ জুন তারিখে প্রকাশিত এস.আর.ও. ( নং-১৮৬-আইন/২০১৯/৪৩-মূসক) অনুযায়ী “বন্দর” অর্থ এমন কোনো উন্মুক্ত বা অন্যবিধ স্থান যেখানে আমদানিকৃত বা রপ্তানিযোগ্য যে কোনো পণ্যের বিনিময়ে বা অন্য কোনোভাবে মজুদ বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। যে কোনো পণ্য মজুদ বা সংরক্ষণের সহায়ক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সকল প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডসহ মজুদকৃত অথবা সংরক্ষিত কোনো পণ্যের নিরাপত্তা স্ক্যানিং সেবাসহ পণ্য চালানের নিষ্পত্তি বিষয়ক সকল কর্মকাণ্ড এবং এ সংক্রান্ত আইসিডি এবং সিএফএস সেবার অন্তর্ভুক্ত হবে।

অন্যদিকে ২০১৯ সালের ১৯ জুন প্রকাশিত এস.আর.ও ( নং-১৮৮-আইন/২০১৯/৪৫-মূসক) অনুযায়ী— মূসক নিবন্ধিত শতভাগ রপ্তানিকারক, শতভাগ প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে- রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ আমদানি ও তৈরি পণ্য উৎপাদনপূর্বক রপ্তানি উভয় পর্যায়ে “বন্দর” সেবাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

এ কারণে সরকারি আদেশ অনুযায়ী— মূসক নিবন্ধিত শতভাগ রপ্তানিকারক, শতভাগ প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে- রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ আমদানি ও তৈরি পণ্য উৎপাদনপূর্বক রপ্তানি উভয় পর্যায়ে “বন্দর” সেবা অব্যাহতিপ্রাপ্ত। বিষয়টি নির্দেশক্রমে অবহিত করা হলো।

এর আগে ২০২২ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস এ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) থেকে ভ্যাট অব্যাহতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

ওই চিঠি বলা হয়েছিল, অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি আদেশের স্বল্পতাসহ সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। এরূপ পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্পের উপর ১৫ হারে ভ্যাট আদায় অব্যাহত থাকলে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিষ্ঠানসমূহ রপ্তানিতে সক্ষমতা কমে যাবে। এমন সংকটময় মুহূর্ত কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই রপ্তানি বাণিজ্যের সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য পোশাক শিল্পের চালানের বিপরীতে মূসক আদায়ের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করে বিজিএমইএ।

Facebook Comments Box

Posted ১২:০০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com