সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আগুন আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় পাশের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগে ধানমন্ডির ৩/এ–তে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়ে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। সেখানে এখন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে রাজধানী ঢাকার বিজয় সরণিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হচ্ছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একদল মানুষকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
এর আগে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপর লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে আসা। তারা উল্লাস প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। এ সময় গণভবনে ঢুকেও লুটপাট করা হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সেনাপ্রধান।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। একটি অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখেন। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।”
জনগণের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, “দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখেন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, একসাথে কাজ করি। দয় করে সাহায্য করেন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত হোন। সবাই মিলে সুন্দর দেশ গড়েছি।”
কোন কোন রাজনৈতিক দল সঙ্গে বৈঠক করেছেন—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। শিক্ষক আফিস নজরুল ও জোনায়েত সাকিও বৈঠকে ছিলেন।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “আমরা এখন বঙ্গবভনে যাব। সেখানে অন্তবর্তী সরকার গঠনের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তিনি ছাত্রদের শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন।”