নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 171 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা কুইন্স কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা দায়ের করলো অব্যাহতি প্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত ৩১ আগষ্ট সংগঠনটির পক্ষে এটর্নি যোশেফ এফ ম্যাটন মামলাটি দায়ের করেন। তালিকায় মইনুল ইসলামসহ ওয়াশিংটন ইকুয়েটি এন্ড ফান্ডিং করপ, মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ (সাবেক সাধারন সম্পাদক), মইনুল হক চৌধুরী (সাবেক সভাপতি),ময়নু জামান চৌধুরী ও মেগা হোম রিয়ালিটির নাম রয়েছে। জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাড়ে ৩ লাখ টাকা আইন বর্হিভ‚তভাবে উত্তোলন করার অভিযোগেই এ মামলা। সংগঠনের তহবিল থেকে নিয়ম বর্হিভ‚তভাবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডলার উত্তোলন ও তা ব্যক্তিগত খাতে ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ৩১ আগষ্টের মামলার ব্যাপারে মইনুল ইসলামের দৃষ্টি আর্কষন করলে তিনি আজকালকে বলেন, নতুন কোন মামলার খবর জানি না। কয়েকমাস আগে একটি মামলার কথা শুনেছিলাম।
এদিকে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ট্রার্স্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য এটর্নি মঈন চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনের অর্থ কেলেংকারির তদন্ত ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিস ও আদালতে তদন্তাধীন থাকার কারনে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি আজকালকে বলেছেন, আমি ডিস্ট্রিক্ট ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে রয়েছি। এমতাস্থায় নিরপেক্ষতা রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিলাম।জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক রোকন হাকিমের দৃষ্টি আর্কষন করলে তিনি বলেন, তার পদত্যাগ পত্র আমরা পেয়েছি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর কার্যকরি কমিটির বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হবে।
একটি অলাভজনক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার অর্থ কেলেংকারিতে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিস তদন্তও করছে বছরের শুরু থেকেই। ইতিমধ্যে সাবেক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ইন্টারভিউ নিয়েছে ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিস। সংগঠনের তহবিল থেকে নিয়ম বর্হিভ‚তভাবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডলার উত্তোলন ও তা ব্যক্তিগত খাতে ব্যবহারের অভিযোগ আনে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র কার্যকরি পরিষদ। কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিস বাদী পক্ষের স্টেটমেন্ট গ্রহন করে। তারা ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সংবিধানের কপি ও বিভিন্ন সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ উপস্থাপন করেন। এটি একটি ক্রিমিনাল কেস হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কেসটির ওপর এখনও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।। এটর্নি অফিস জালালাবাদ এসোসিয়েশনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সাধারন সম্পাদক মইনুল ইসলাম (বহিস্কৃত) সাবেক ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদেরও বক্তব্য নিয়েছে। করোনাকালীন সময়ে নন প্রোফিট সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আড়াই লাখ ডলার কিভাবে ওয়ার ট্রান্সফারের মাধ্যমে একটি কনস্ট্রাকশন ফামের্র একাউন্টে জমা হলো তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারি অফিসাররা। এদিকে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের গত সাধারন সভায় সাময়িক বহিস্কৃত মইনুল ইসলামকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। মইনুল এরপরপরই জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নামে পাল্টা কমিটি করেছেন। এবং সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছেন।
আইনী পদক্ষেপের ব্যাপারে জালালাবাদের সভাপতি বদরুল খানের দৃষ্টি আর্কষন করলে তিনি বলেন, মইনুল ইসলামের ব্যাপারটি আইনী প্রক্রিয়াধীন আছে। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে সংগঠনের অর্থ লোপাট করে কেউ রেহাই পাবে না। জবাবদিহিতার আওতায় একদিন আসতেই হবে। মনে রাখতে হবে জালালাবাদের অর্থ সিলেটবাসীদের আমানত। সাধারন সম্পাদক রোকন হাকিম বলেন, জালালাবাদ এসোসিয়েশন সিলেটবাসীর আস্থার স্থল। আমার বিশ্বাস আইনী প্রক্রিয়াতেই ফয়সালা হবে। সত্যের জয় হবে।
Posted ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam