জাতীয় ডেস্ক | শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট | 12 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রণীত নীতিমালা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের আপত্তি আমলে নিয়ে অবিলম্বে উভয় পক্ষকে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এমন কোনো নীতিমালা করা যাবে না, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়। গণমাধ্যমের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
শনিবার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘নির্বাচন কমিশন প্রণীত সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা ২০২৫’ শীর্ষক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের সহযোগিতায় যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত রিপোর্টারদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)।
দীর্ঘদিন নির্বাচন কমিশনে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে চাইলে ইসিকে অবশ্যই সাংবাদিকদের সহযোগিতা নিতে হবে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে বহু ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি। অনেক তরুণ জানেই না, কীভাবে ভোট দিতে হয়। বিপুল ভোটার বাদ রেখে একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনা করেছেন– এর দায় শুধু আওয়ামী লীগের নয়, দেশের সব নাগরিকেরই রয়েছে।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত বলেন, সরকার যেভাবে নির্বাচন চায়, নির্বাচন কমিশনের অবস্থানও অনেকটা তেমনই। তাই কমিশনের উচিত হবে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করা। একই সঙ্গে সবাইকে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের পার্থক্য স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে।
বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী সদস্য অন্তরা বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরএফইডির সভাপতি কাজী জেবেল। যেখানে বিজেসি ও আরএফইডি যৌথভাবে প্রস্তুতকৃত একটি নীতিমালা প্রস্তাব করা হয়।
সভায় বক্তব্য দেন বিজেসির সদস্যসচিব ইলিয়াস হোসেন, বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর আল মামুন ও আরএফইডির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী।
Posted ৩:৫৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
nykagoj.com | Stuff Reporter