বাংলাদেশিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসে খলিল বিরিয়ানীর শাখা উদ্বোধন হচ্ছে মহান শহীদ দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার। রুজভেল্ট এভিনিউ সাবওয়ের ঠিক উল্টোপাশে (৭৪-১০ ব্রডওয়ে) ব্রডওয়ের ওপর নিউইয়র্কের সুপরিচিত খলিল বিরিয়ানীর ৫ম শাখার যাত্রা শুরু হবে। চমৎকার নানন্দিক সাজসজ্জার এই রেস্টুরেন্টটিতে ৩৫ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটের ভীর ও জটলা এড়িয়ে দু পা এগিয়ে নিরিবিলি পরিবেশে খাওয়া-দাওয়ার জন্য একটা আদর্শ পরিবেশ হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। বাঙ্গালীদের ভাষা ও সংস্কৃতির বন্ধনে ২১ ফেব্রয়ারি। এ মাসটিতে বাংলাদেশ ও ভারতের বাঙ্গালীরা তাদের সংস্কৃতির শেঁকড় খুঁজে পায়। রসনায় জমে উঠে বাঙ্গালী ভোগবিলাসে। এমনই রন্ধন শিল্পের যাদু নিয়ে নিউইয়র্কে গড়ে উঠেছে খলিল বিরিয়ানি হাউজ। নিউইয়র্কসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত সব শহরেই খলিল বিরিয়ানী পরিচিত। এর শাখা ব্রংকস ও জামাইকায় জামাইকায়। এবার যাচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাব ও তীর্থক্ষেত্র জ্যাকসন হাইটসে। ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় জ্যাকসন হাইটসে উদ্বোধন হবে খলিল বিরিয়ানী হাউজ। এ সময় মূলধারার রাজনীতিক ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
খলিল বিরিয়ানীর স্বত্বাধিকারী শেফ খলিলুর রহমান প্রতিনিধিকে বলেন, জ্যাকসন হাইটস প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যবসা বানিজ্য, সাহিত্য সংস্কৃতি ও সভা সমাবেশের প্রাণকেন্দ্র। সমগ্র আমেরিকার মধ্যে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশিদের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। গত ৪ বছর ধরেই এই জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশিদের সুস্বাদু, হালাল ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করতে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ভালো একটি যায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে ২১ ফেব্রুয়ারি তার দেখা মিলবে আনুষ্ঠানিকভাবে। তিনি আরও বলেন, এখানে বিরিয়ানীসহ বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবারের পাশাপাশি থাকবে হালাল মম সহ অন্যান্য বিদেশী খাবার। এজন্য ইতিমধ্যেই অভিজ্ঞ নেপালী শেফ নিয়োগ দিয়েছি। এখানে বৈচিত্রময় নানাবিধ হালাল খাবারের ব্যবস্থা থাকবে,যা থেকে গ্রাহকরা তাদের পছন্দের খাবারগুলো বেছে নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, নিউইয়র্কের ব্রংকস, জ্যামাইকা, জ্যাকসন হাইটসের পর আমরা খুব শীঘ্রই ওজন পার্কে আরো একটি শাখা খোলার প্রস্তুতি নেব। প্রবাসী বাংলাদেশীদের আরো বেশী করে সেবা দিতে চাই। এজন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
