
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 160 বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা উভয় দেশই সীমান্ত দিয়ে প্রবেশকরা এসাইলাম প্রার্থীদের ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়েছে। অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় কিংবা কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারি এসাইলাম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে। বিশেষ করে তা হবে আমারিকার নর্দার্ন সীমান্ত জুড়ে। অনুমোদন ছাড়া আমেনিকায় প্রবেশকারি এসাইলাম প্রার্থীদের নিরুৎসাহিত করাই এই ডিলটির লক্ষ্য। এই সমঝোতা অনুসারে, আমেরিকা বা কানাডার সীমান্ত দিযে ১৪ দিনের মধ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ করলে সংশ্লিষ্ট দেশ তাদের ফেরত বা ডিপোর্ট করতে পারবে। উভয় পক্ষই প্রত্যাশা করছেন, এর ফলে সীমান্তে অনুপ্রবেশ কমবে। সম্প্রতি উভয় দেশের সীমান্ত দিয়ে অবৈধদের প্রবেশের হার বেড়ে যাওয়ায় দু’দেশ দ্রুত এ সমঝোতায় পৌছলো। আমেরিকায় বিশেষ করে দক্ষিন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে উত্তর সীমান্ত পার হয়ে এসাইলাম প্রার্থীরা কানাডায় ঢুকছে।
কানাডার অটোয়াতে শুক্রবার ২৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রডো ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত এ বিষয়টির চূড়ান্ত করেছেন। ২০০৪ সালে সম্পাদিত চুক্তির আপডেটের মধ্যদিয়ে নতুন ডিল করলো উভয় দেশ। সাম্প্রতিককালে কানাডা থেকে কাগজপত্রহীনদের আমেনিকায় প্রবেশের হার তুলনামূলক কম। বরং যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় প্রবেশের হার বেশি। গত ৬ মাসে কানাডা থেকে আমেরিকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে ২ হাজার ৮ শত ৫৬ জন। পক্ষান্তরে আমেরিকা থেকে কানাডায় ঢুকেছে ৪০ হাজার অবৈধ মাইগ্র্যান্ট।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের ইমিগ্রেশন সার্ভিস তা হ্যান্ডেল করতে পারছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ সমঝোতার বিকল্প ছিল না।
ইমেগ্রেশন এডভোকেটরা এ সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, বাইডেন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ইমিগ্রেশন বান্ধব ভূমিকা থেকে অনেকে দূরে সরে গেছেন। কানাডার সাথে তার এই চুক্তি প্রমান করে বাইডেন উল্টো পথে হাঁটছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়েও তিনি কম যাচ্ছেন না।
Posted ৩:১৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam