নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 29 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
দেশে চলমান সংস্কার এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে ভূমিকা রাখতে চান পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের জন্য যে টাইমলাইন দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার—উজ—জামান, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, সেনাপ্রধানের ঘোষণায় তিনি খুশি, যদিও এটা প্রত্যাশার চেয়ে পরে ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বলেছেন, শেখ হাসিনার দলকে ছাড়া প্রকৃত সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন টেলিগ্রাফ। ছাত্র—জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে ৫ই আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পক্ষে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানান জেনারেল ওয়াকার—উজ—জামান। তিনি রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে দেশে গণতন্ত্র ফেরা উচিত। এ ঘোষণার পর মঙ্গলবার দিনের শেষে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, অন্ততপক্ষে এখন পর্যন্ত একটি টাইমলাইন পাওয়ার খবর শুনে আমি খুশি। কিন্তু এর আগেও আমরা দেখেছি অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক সরকারের সংস্কার প্রতিশ্রুতি দেয়। তারপর পরিস্থিতির অবনতি হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সামরিক অভ্যুত্থানের ইতিহাসের দিকে তিনি ইঙ্গিত করেন। সম্প্রতি ২০০৭ সালে অভ্যুত্থান হয়। তখন সেনাবাহিনী সমর্থিত একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর দেশ শাসন করেন। তারপর ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা দেশ চালান ১৫ বছর।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ পুলিশ বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে সেনাবাহিনী। এমন অবস্থায় জেনারেল ওয়াকার বলেছেন, যেহেতু সেনাবাহিনী স্থিতিশীলতায় সমর্থন করে এ জন্য প্রতি সপ্তাহে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশের প্রধান দু’টি বিবদমান দল বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ— উভয়ই আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে। কিন্তু ক্ষমতায় আসা নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের আগে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেননি। বুধবার ড. ইউনূসের অফিস থেকে বলা হয়েছে, সংস্কার বিষয়ক প্যানেলের সুপারিশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়, যখন সংস্কারের বিষয়ে একমত হওয়া যাবে এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুত হবে, তখনই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। বিএনপি বলেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা নির্বাচন করতে চায়।
সজীব ওয়াজেদ জয় বসবাস করেন ওয়াশিংটনে। তিনি বলেছেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য আলোচনার জন্য কথা বলেননি তিনি বা অন্তর্বর্তী সরকার। তার ভাষায়— সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলকে (আওয়ামী লীগ) বাদ দিয়ে বৈধ সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব। গত মাসে সজীব ওয়াজেদ জয় রয়টার্সকে বলেছেন, দেশে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত শেখ হাসিনা। ছাত্র আন্দোলনকারীদেরও একই দাবি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় বলে জানিয়েছেন জয়। শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে মঙ্গলবার তিনি বলেছেন— এটা তার (শেখ হাসিনা) বিষয়। ঠিক এই মুহূর্তে আমার দলের লোকজনকে নিরাপদ রাখতে চাই। তাই যে নৈরাজ্য চালানো হচ্ছে সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই।
Posted ৬:১২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam