আন্তর্জাতিক ডেস্ক | রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট | 53 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা ও এশীয় মিত্রদের প্রতি প্রকাশ্যে ব্যাপক বিরোধিতা করলেও কিম জং উনের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়ায় ইংরেজি শিক্ষার হার বিস্তার ঘটছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ নথি, পাঠ্যবই ও অন্যান্য শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়বস্তু থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
এই সব তথ্য-প্রমাণ পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার কোরীয় সার্ভিস।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং তার আস্থাভাজনরা দেশে ঢুকে পড়া মার্কিন প্রভাব নিয়ে সাধারণত উদ্বিগ্ন ও বিরোধী মনোভাবাপন্ন। তারা ‘পচা ইয়াঙ্কি সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধে নাগরিকদের সতর্ক করেছে। তবে আধুনিক বিশ্বে কোণঠাসা ও প্রায় বিচ্ছিন্ন এই দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম ইংরেজি ভাষা-শিক্ষার মূল্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
দেশটির সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল কোরিয়ান সেন্ট্রাল ব্রডকাস্টিং টেলিভিশন গত মাসে সে দেশের শিক্ষকদের সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ সম্প্রচার করেছে। সেখানে ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্ব আরোপের ব্যাপারটিও এসেছে।
পিয়ংইয়ং-এর সাংশিন মিডল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আন সুং আইকে একটি ভিডিও ক্লিপে বলতে দেখা গেছে, “শ্রদ্ধেয় কমরেড কিম জং উন আমাদের নির্দিষ্টভাবে কম্পিউটার প্রযুক্তি ও বিদেশী ভাষা শিক্ষার উপর জোর দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।”
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টেলিভিশন নেটওয়ার্কও সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন “ইংরেজি শিখন কক্ষ’র ভিডিও সম্প্রচার করেছে।
কিম জং উনের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বৈরিতা বৃদ্ধি করেছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাব লঙ্ঘন করে একের পর এক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে তারা অস্থিরতা বাড়িয়েছে।
চলতি বছরের জুন মাসে উত্তর কোরিয়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অভিপ্রায়েই তা করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার চার বছরের প্রাথমিক স্কুল ব্যবস্থাকে এক বছর বাড়িয়ে পঞ্চবার্ষিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করা হয়েছে যাতে শিশুরা অনেক কম বয়স থেকেই ইংরেজি শেখা শুরু করতে পারে।
ওয়াই ইয়ন লি ২০১৯ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে এসেছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ১৯। তিনি ভয়েস অব আমেরিকার কোরীয় সার্ভিসকে বলেন, “আমি যখন মিডল স্কুলে ছিলাম তখন থেকে আমি ইংরেজি শিখতে শুরু করি। সে সময় কম বয়সে ইংরেজিতে শিক্ষার কার্যকারিতা নিয়ে কিছু বিতর্ক হয়েছিল।”
লি আরও বলেন, “পরে অবশ্য তারা নীতি পরিবর্তন করে এবং প্রাথমিক স্কুল থেকেই ইংরেজি শেখানো শুরু করা হয়।”
Posted ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter