এবিসিডিআই এর সংবাদ সম্মেলন- ১৮ই জুন’ ২০২৪ইং উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ, এবিসিডিআই এর পক্ষ থেকে আপনাদের স্বাগতম ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমেরিকা বাংলাদেশ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এবিসিডিআই) গত ১৮ জুন নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এবিসিডিআই একটি অলাভজনক এবং নির্দলীয় সংস্থা। ২০০৪ সালে শিক্ষা ও গবেষণামুলক অনেকগুলো কাজ হাতে নিয়ে এই সংগঠনের যাএা শুরু করেছিল। এটি দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে বাংলাদেশ সম্প্রদায় এবং মূলধারার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কাজ করে আসছে। বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি ও স্বদেশ! দেশে যখন সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার ছিল। তখন দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ছিল না। দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবীতে আন্দোলন করে আসছিল। সে সময় বিদেশ থেকে এই সংগঠণের নেতৃএে অনেকগুলো সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের মানুষের মাঝে বেশ আলোড়ন সৃস্টি করেছিল। সেই সময়ের অন্তর্বর্তী ‘বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ (CTG) দেশের সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন না করে প্রায় ৭০০ দিন পর 18 ডিসেম্বর 2008 তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা করলে। সে নির্বাচন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অহিংস, স্বচ্ছ হবে কিনা? তা নিয়ে নানান প্রশ্ন দেখা দেয়। সে সময় এবিসিডিআই বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অহিংস, স্বচ্ছ এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছিল। সেমিনারে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় যথাযথ পদ্ধতি এবং মনিটরিং সেট-আপের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল, যাতে নির্বাচনের ফলাফলগুলি বাংলাদেশ ও বিদেশি জনমতের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। আপনারা জানেন, সে সময় বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মার্কিন কংগ্রেসেও একটি বিল পাস হয়েছিল। সেমিনারে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্টদের দল নির্বাচনের সমস্যা এবং বাধা চিহ্নত করে সেমিনারে তাদের সুপারিশ উপস্থাপন করেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ও কি নোট স্পিকার এবং বৃটিশ পালামেন্ট সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকী অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইউএস কংগ্রেস ওয়োম্যান ইভেট ক্লাক অতিথি হিসাবে সেমিনারে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের মসৃণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য অমূল্য দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্লেষণাত্মক মতামত এবং গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে আমাদের সমৃদ্ধ করেছিলেন। ঐ সেমিনারের সুপারিশসমুহ সেই সময় দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ, আপনারা জানেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিশ্বয়। উন্নয়নের মহাসড়কে, এশিয়ার টাইগার, বিশ্বে উন্নয়নের মডেল এবং অথনৈতিকভাবে শক্তিশালী ও উন্নয়নশীল একটি দেশ। এ বছর 7,970 billion টাকার বাজেট ঘোষিত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ অনেক দুর এগিয়েছে। অথচ দেশ-বিদেশে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ, আপনারা জানেন, দেশে গত সাধারন নির্বাচনের আগে যুক্তরাস্ট্র ও ইউএনও কে সত্য-মিথ্যা অনেক তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের সহিত আমেরিকার ও ইউএনও এর সম্পর্ক বিনষ্ট করার চেস্টা করা হয়েছিল। এখনো ইউএনও এর শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অত্যন্ত দক্ষতার দায়িত্ব পালন করে আসছে। ইউএনও এর শান্তি মিশনে বাংলাদেশ নিয়েও ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশে এক শ্রেনীর আমলা, ব্যঙ্কার, একাডেমিশিয়ান, রাজনীতিবিদ দেশের অর্থ আত্মসাৎ এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি রুগ্ন করায় চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। দেশের অর্থ আত্মসাৎকারী, জনপ্রতিধি হ্ত্যাকারী খুনীরা যুক্তরাস্ট্রে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিরাও যুক্তরাস্ট্রের বিভিন্ন শহরে নির্ভয়ে বসবাস করছে। যুক্তরাস্ট্র আজ খুনি, ষড়যন্ত্রকারী, দূনীতিবাজ, অর্থ আত্মসাৎকারীদের অভয় অরন্যে পরিনত হয়েছে। এরা কেউ আইনের উর্ধে নয়। এদের অনেকের বিরুধে তদন্ত ও মামলা চলছে। এ সকল দূনীতিবাজদের বিরুধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি। সেইসাথে এরা যাতে যুক্তরাস্ট্র সমাজে বসবাস করতে না পারে এবং এদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন ও গন সচেনতা তৈরীসহ, মার্কিন মুলধার সাথে আরো শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার কাজে এই সংগঠন অগ্রনী ভূমিকা পালনে সচেস্ট থাকবে। লিখিত তবক্তব্য পাঠ করেন এবিসিডিআই সাধারন সম্পাদক আলী হাসান কিবরিয়া অনু ।বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংঠনের প্রতিষ্ঠাতা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, মুজাহিদ আনসারি, মিথুন আহমেদ, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, হাকিকুল ইসলাম খোকন, জাকির হোসেন বাচ্চু, আকতার হোসেন ও লিয়াকত আলী।
