রবিবার ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

সরকারি কর্মকর্তারা অত্যন্ত হতাশ ও দিশেহারা, দাবি খন্দকার মোশাররফের

রাজনীতি ডেস্ক   |   রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   206 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

সরকারি কর্মকর্তারা অত্যন্ত হতাশ ও দিশেহারা, দাবি খন্দকার মোশাররফের

সরকারের অধীনস্থ কর্মকর্তারাও অত্যন্ত হতাশ ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আজ রোববার দুপুরে ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে নওগাঁয় র‍্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে “বিনা বিচারে হত্যা-গুম ও নির্যাতন, আর কতকাল সইবে বাংলাদেশ” শীর্ষক এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

নওগাঁর সরকারি কর্মকর্তা সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকার স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী। সরকারের স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী আচরণ চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অন্যথায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। সাংবাদিক শামসুজ্জামানের কী দোষ? এদেশে তো আসলেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।

তিনি বলেন, সরকার সকল দিক থেকে ব্যর্থ হয়ে আজ দিশেহারা। এজন্য কখন কী করতে হবে, তা বুঝতে পারছে না। এ সরকারের অধীনস্থ যে কর্মকর্তারা তারাও কিন্তু অত্যন্ত হতাশ ও দিশেহারা। এই সরকারের হুকুমে তারা যে অন্যায়গুলো করেছে, এজন্য ভবিষ্যতে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তারাও নার্ভাস।

সরকারের নির্দেশে র‍্যাব ৬০০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গুম করেছে বলে দাবি করেন খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেন, এ ছাড়া হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আর মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার তো কোনো অভাব নেই।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমাদের দেশে এমন কিছু হয়েছে, যার কারণে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিতে বাধ্য হয়েছে। র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবুও র‍্যাব জেসমিনকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষ আজ বঞ্চিত। এদেশে শুধু সংসদ নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও জনগণ ভোট দিতে পারেনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, রক্ত দিয়ে আমরা এই দেশকে স্বাধীন করেছি। কী প্রত্যাশা ছিল? প্রত্যাশা ছিল স্বাধীনভাবে বসবাস করা, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সাম্যের প্রত্যাশা, অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু আজকের বাংলাদেশ এমন অবস্থা, এখানে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈষম্য। ধনী সবচেয়ে ধনী; আর একজন গরিব সবচেয়ে গরিব।

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

Facebook Comments Box

Posted ১১:১০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com