বৃহস্পতিবার ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ সরকারের  বিরুদ্ধে সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের চিঠি

ডেস্ক রিপোর্ট   |   শনিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   110 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

বাংলাদেশ সরকারের  বিরুদ্ধে সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের চিঠি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশে সহিংসতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২২ জন সেনেটর ও কংগ্রেসম্যান।

চিঠিতে তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ছাত্রদের বিক্ষোভ দমনে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করেছে। সহিংসতা ও সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

চিঠিতে মার্কিন আইনপ্রণেতারা লিখেছেন, বাংলাদেশের গত সাতই জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে গত জানুয়ারিতে একটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন করেছে।

এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের সাতই জানুয়ারি নির্বাচন বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বয়কট করেছিল। এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ শে অক্টোবর বিরোধী দলের বিক্ষোভের পর ঢালাওভাবে গ্রেফতার অব্যাহত রাখে সরকার।

মার্কিন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের চিঠি

                      মার্কিন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের চিঠি

চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জোরালো সহিংসতা করেছে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরে পুলিশ, বিক্ষোভকারী, বিরোধী কর্মী ও সরকার-পন্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। এতে ১৭০ জন নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়েছে।

ছাত্র বিক্ষোভের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞায় থাকা র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে ব্যবহার করেছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে দাঙ্গা পুলিশ। এছাড়া সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কঠোর কারফিউ ও ‘দেখামাত্র গুলি করার’ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বিক্ষোভ দমনের জন্য ইন্টারনেটও বন্ধ করা হয়েছে।

এসব ঘটনার কথা উল্লেখ করে তারা চিঠিতে লিখেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সকল সহিংসতার নিন্দা করতে হবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে”।

একই সাথে বাংলাদেশের বিক্ষোভ দমনে যে সব সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

বাংলাদেশের এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেয়া হয় ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে অংশীদার হতে হবে। যারা বাংলাদেশি জনগণের একটি প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকারের অধিকারের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে’।

এছাড়াও গণমাধ্যমকর্মী এবং সরকার বিরোধী সমালোচকরা অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গুরুতরভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।

বর্তমানে বাংলাদেশে হয়রানি, নজরদারি কিংবা শারীরিক আক্রমণ চালানোর পাশাপাশি কঠোর ডিজিটাল সেন্সরশিপ অব্যাহত রয়েছে বলেও বলা হয় ওই চিঠিতে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশে শ্রম আইন ব্যবস্থার উন্নতি করতে ব্যর্থ হওয়া না পারার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ২০২১ সালের বাংলাদেশের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান বা র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও তুলে ধরা হয় এই চিঠিতে।

Facebook Comments Box

Posted ৪:৪১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com