যুক্তরাষ্ট্র সফররত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, একটি গন অভ্যুত্থান ছাড়া স্বৈরাচারি আওয়ামী সরকারকে হঠানো যাবে না। ডামি নির্বচান ও মধ্যরাতের নির্বাচনের প্রহসন করে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কেউই বিশ্বাস করে না হাসিনার অধীনে একটি সুষ্ঠূ ও অবাধ নির্বাচন হতে পারে। অথচ বাংলাদেশের মানুষের কোন সর্মথন নেই এই সরকারের উপর। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকার উৎখাত করতে হবে। গত ১৭ জুন ব্রুকলিনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুস সবুর।
মতবিনিময় সভায় বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুস সবুর, নুর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ বাসেত রহমান, অনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার, ,মাকসুদ এইচ চৌধুরী, সালেহ আহমেদ চৌধুরীী, এম এ কুদ্দুস, মাহফুজুল মাওলা নান্নু, মাশুক ওমর ফারুক, পারভেজ সাজাদ, বদিউল আলম, নুর আলম, সায়েদ কাওছার শাহিন, সৈয়দ জুবায়ের আলী, আতিকুল আহাদ, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, আবু তাহের, রাশেদ চৌধুরী বিপ্লব, আল মামুন সবুজ,আহমেদ সোহেল, রাশেদ রহমান, রুহুল রহমান ও অরিক রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এই আয়োজনের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়াসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি বাংলাদেশের আন্দোলন-সংগ্রামে অনেক অবদান রাখছে। জাতিসংঘ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সামনে আন্দোলনসহ দেশে বিএনপি’র নির্যাতিত নেতাদের আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে প্রবাস থেকে বিরাট অনেক অবদান রাখেছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ৯৫ মানুষ ভোট দিতে যায় নি, শেখ হাসিনার এক তরফা ডামি নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি ও জনগণের বিজয় হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মিদের ধৈর্য সহকারে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। তিনি সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনার শেষ রক্ষা হবে না। শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে তিনি নের্তৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে ‘আফটার ঈদ পার্টি’র কেক কাটেন।
