
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 54 বার পঠিত
যুুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অন্যদিকে নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগ। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেবার লক্ষ্যে ম্যানহাটনস্থ ম্যারিয়ট মারকিউস হোটেলের সম্মেলন কক্ষ ভাড়া করেছে। কিন্তু সিটি বা মহানগর আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার আয়োজন করবে বলে পোস্টারিং ও সভা সমাবেশ করছে। এ লক্ষ্যে তারা একটি কমিটিও গঠন করেছে। মহানগর আওয়ামী লীগের ভাষ্য অনুযায়ী তারা শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপের নির্দেশনা পেয়েই এ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন। আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইবাদুর রহমান চৌধুরী।
এদিকে যুক্তরষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান মহনগর আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডকে গর্হিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, পোষ্টারিং ও মিছিল করলেই প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা যায় না। এটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। অনেক খরচের ব্যাপার। ইতোমধ্যেই আমরা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নামে সংবর্ধনার জন্য হোটেল বুক দিয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও মতামতের ভিত্তিতেই সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। আমাদের করণীয় জানার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। গত শনিবার ৯ সেপ্টেম্বর জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তলাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সহসভাপতি সামসুদ্দনি আজাদ, মহিউদ্দীন দেওয়ান, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মেরাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মকবুল হোসেন তালুকদার, জি আই রাসেল,আশরাফুজ্জামান,আজমল হক শাহিন,হাজি এনাম, মহানগর আওয়ামী লীগ একাংশের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী,মোরশেদা জামান ও টুকু।
সংবাদ সম্মেলনে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেবার বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে ওদের কোন ধারনা নেই। তা থাকলে এই দু:সাহসিক কথা বলতো না। তারা অন্যায় কাজ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই মহানগর ও স্টেট আওয়ামী লীগগুলো। মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা যত শ্লোগান দেন বা পোষ্টার লাগান না কেন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেব না। বরং তাদের নিয়েই সংবর্ধনার আয়োজন করবো। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আকাশ থকে আসেনি। এটা শেখ হাসিনারই দেয়া। তাদের সাথে আমি কথা বলবো। তাদের সাথে আলোচনায় বসবো। মনে রাখতে হবে, আমরা সবাই শেখ হাসিনার কর্মি। নেত্রী যা করবেন সাংগঠনিকভাবেই করবেন। তার বাইরে তিনি কিছু করেন না। এই মহানগর আওয়ামী লীগও আমারই অনুমোদিত। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে কোনদিনই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে না। আমরা ইতোমধ্যেই হোটেল বুক দিয়েছি। তারা কি খোলা মাঠে জননেত্রীকে সংবর্ধনা দিতে চান? নিশ্চয়ই তা নয়। তিনি বলেন, নেত্রী জাতিসংঘের সাধারন অধিবেশনে যোগদানের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসবেন। আমরা বিমান বন্দরও তাকে স্বাগত জানাবে। জাতিসংঘে ভাষন দেবার দিন (২২ সেপ্টেম্বর দুপুর)শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছি। ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করবো ইনশাল্লাহ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের কতিপয় নেতার বিরোধিতার কারনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত পর্বের কর্তৃত্ব চলে যায় তৃতীয় পক্ষের হাতে। এবার আশা করবো তা হবে না।
এদিকে জ্যাকসন হাইটসে ড. সিদ্দিকুর রহমানের সংবাদ সম্মেলনে আগে ডাইভারসিটি প্লাজায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভা চলছিল। সেখানে মাহনগর সাধারন সম্পাদক ইবাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
Posted ৪:২১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam