
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 110 বার পঠিত
ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে' ।প্রবাদ বাক্যটি ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি ।এর মর্ম তেমনভাবে বুঝতাম না ।একটু বড় হয়ে ক্লাস অস্টম বা নবম শ্রেণীতে ভাবসম্প্রসারণের মাধ্যমে কিছুটা বুঝতে পেরেছিলাম ।আজ প্রবাস জীবনে এসে এই প্রবাদ বাক্যটি অনেক বেশী শ্রুতিমধুর হয়ে আমার লেখায় স্থান করে নিয়েছে।প্রবাদ বাক্য কিন্তু সত্যি মনে হয় ঢেঁকি যদি স্বর্গে যেত, তা হলে ধানই ভাঙতো।যেমন আমাদের প্রিয় মুক্তি যোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ ভাই করছেন ।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা আমরা সবাই জানি ।সেই সময় আমার বয়স চার কিংবা পাঁচ বছর হবে ।স্কুলে গিয়েছিলাম কি না মনে নেই।মোহাম্মাদপুর বাসা ছেড়ে কমলাপুর চাচার বাসায় গিয়ে উঠেছিলাম।পরে সেখান থেকেও কোন এক গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল ।তবে আমার স্পস্ট মনে আছে কোন কোন সময় মাটির গর্তের ভিতর থাকতে হতো ।পরে শুনেছি ট্রেঞ্চ তৈরী করা হতো নিরাপত্তার জন্য এবং আমার চাচাত ভাই রাতের গভীরে কোমর পর্যন্ত পানিতে নেমে মুক্তিবাহিনীদের খাবার সরবরাহ করতেন।সেই নানটু ভাই আজ পৃথিবীতে নেই ।আল্লাহ্ ওনাকে ওপারে ভালো রাখুন ।সুতরাং বলতে গেলে জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিবাহিনী শব্দের সাথে পরিচিত ছিলাম ।মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই পরাধীনতার শিকল ভেঙে স্বাধীনতার মালা গলায় পড়েছি।এই স্বাধীনতার মালা গলায় দিতে গিয়ে অনেক রক্ত,অনেক ক্ষয়ক্ষতি ,অনেক মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পড়তে হয়েছে ।'
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা আমরা তোমাদের ভূলবো না ,আমরা তোমাদের ভূলবো না ।’ আমরা কি আসলেই মনে রেখেছি?স্বাধীনতা লাভ করেছি ৫১ বছর পার করে ৫২বছরে পরেছে ।আমরা যারা সাধারণ মানুষ কস্টের অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে ভুলে গেলেও ,যারা কস্ট করে অর্জন করেছেন ,তাদের পক্ষে ভুলে যাওয়া সম্ভব কি ?এমনই একজন মানুষ আমার ,আপনার, সবার প্রিয় আবু জাফর মাহমুদ ভাই ।বাংলাদেশের মহান মুক্তি যুদ্ধের ১নং সেক্টরের মাউন্টেন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ছিলেন।বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর ভাই ১৯৯৩ সাল থেকে আমেরিকার নিউইয়র্কে বসবাস করছেন ।তিনিই প্রথম হোম কেয়ার কার্যক্রমের প্রতিষ্ঠাতা।হোমকেয়ার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য মানবসেবা করা ।নিউইয়র্কে অনেক মানুষের জীবনে গতিশীল প্রাণের সন্ধান দিয়েছেন।১৯৭১ সালে জীবনকে বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন ।পরাধীনতার কবল থেকে দেশকে মুক্ত করে দেশের মানুষের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়েছেন।আমেরিকাতেও স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের জন্যই জীবনটাকে উৎসর্গ করছেন।কখনও হোমকেয়ারের মাধ্যমে,কখনও বাংলা কমিউনিটিতে নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ।বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন সঠিকভাবে করা হয়নি ।অনেক মুক্তিযোদ্ধা অবহেলিত হয়ে পৃথিবী ছেড়েই চলে গেছেন।আবু জাফর ভাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশে কতটুকু সম্মান পেয়েছিলেন জানি না ,তবে আমেরিকাতে বড় মাপের সম্মান অর্জন করতে পেরেছেন।নারীর ক্ষমতায়ণ ও মানবসেবায় অবদান রাখায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক ও সিনেটারিয়েল অ্যাওয়ার্ড পেলেন আবু জাফর মাহমুদ ভাই ।প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত সম্মাননা সার্টিফিকেট ওব্যাজ তুলে দেন, ওয়ান থাউজেন্ড শেডস অব উইমেন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠিতা এবং প্রেসিডেন্ট ডাইওর ফল।Posted ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
nykagoj.com | Monwarul Islam